জমির
বিভিন্ন শব্দের ব্যাখ্যাঃ
এজমালী
সম্পত্তি:
·
কোন প্লট বা জমি খন্ড একাধিক শরিক একত্রে
ভোগ-দখলে রাখলে তাকে এজমালী সম্পত্তি বলে। এটা হতে পারে ওয়ারিশ সুত্রে বা ক্রয়
সুত্রে।যৌথ মালিকানার জমিকে বলে এজমালি।
বর্গা
চাষী বা আদি :
·
বর্গা বলতে ভূমিতে উৎপন্ন ফসলের ভাগ
বুঝায়। কোন ব্যক্তি ভূমিতে উৎপন্ন ফসলের কোন নির্দিষ্ট অংশ ভূমি মালিককে দেয়ার
শর্তে যদি চাষাবাদ করেন,
তবে উক্ত চাষীকে বর্গাচাষী বলা হবে। আগে চার ভাগের ২ ভাগ মালিক
কে দিতে হতে ,তেভাগা আন্দোলনের পর এত ৩ ভাগের ১ ভাগ দেয়ার নিয়ম করা হয়।
চালা:
·
আবাদী উঁচু জমি যেখানে সাধারনত
শাক-সবব্জির চাষ করা হয়,
তাকে চালা বলে। কোন কোন এলাকায় চালা শ্রেনীর জমিকে ভিটিও বলা হয়।
ভিটি
·
এমন অনেক উঁচু জমি আছে যেখানে
বসবাসের জন্য বাড়ীঘর নির্মাণ না করে চাষাবাদ করা হয়। বাড়ীঘর করার যোগ্য এমন উঁচু
ভূমিকে ভিটি জমি বলে।
নয়নজুলি:
·
রাস্তা নির্মানের সময় দুধার থেকে মাটি
তোলার কারণে নালা সৃষ্টি হয়। রাস্তার দুধারে সৃষ্ট এমন নালাকে নয়নজুলি বলা হয়।
হালট:
·
চাষিদের জমি চাষের জন্য হাল-বলদ নিয়ে
জমিতে চলাচলের জন্য এবং শ্রমিকদের ভূমিতে কাজে যাওয়ার জন্য, ভূমির
পাশ দিয়ে যে পথ বা রাস্তা রাখা হয়, তাকে হালট বলে।
নকশা:
·
কাগজে অংকিত ভূমির প্রতিচ্ছবিকে নকশা বলে।
এট বিভিন্ন স্কেলে তৈরি করা হয়।মাঠের জমিকে কাগজে সংকুচিত করে অংকিত করা হয়।যেমন –
৪,১৬,৩২,৬৪,৮০ ইঞ্চি =১ মাইল।
দাগ
নম্বর:
·
ভূমির নকশায় প্রতিটি প্লটকে এক একটি নম্বর
দ্বারা চিহ্নিত করা হয়,
এই নম্বরকে দাগ নম্বর বলে।
ছুট
বা ছুটা দাগ
·
নকশায় সংখ্যায়নের মাধ্যমে ভূমির দাগ নম্বর
দেয়ার সময় প্রায়শই ভুলক্রমে কোন সংখ্যা বাদ পরে অথবা কোন কারণে পরবর্তী সময় কোন
সংখ্যা নকশায় বাদ দিতে হয়। নকশায় প্রকৃত অনুপস্থিত ঐ নম্বরকে ছুট দাগ বলে। ছুট দাগ
নম্বর সীটের পার্শ্বে নোট করা থাকে।
বাটা
দাগ
·
নকশা প্রস্তুতের সময় প্রত্যেক ভূমি খণ্ডকে
চিহ্নিত করার জন্য দাগ নম্বর দেয়া হয়। পবর্তীকালে কোন দাগ বাস্তব প্রয়োজনে বিভক্ত
করা আবশ্যক হতে পারে। যদি কোন দাগকে বিভক্ত করে আলাদাভাবে নতুনদাগ সৃষ্টি করে
নম্বর দেয়া হয়,
তাহলে বিশেষ পদ্ধতিতে দাগ নম্বর দিতে হয়। পরবর্তী সময় এ নতুন
সৃষ্ট নম্বরকে বাটা দাগ নম্বর বলে। এ নতুন সৃষ্ট দাগে বাটা দাগ নম্বর দেয়ার সময়
বিভক্ত দাগের মুল নম্বর এর নীচে (বাই নম্বর) সীটের শেষ নম্বরে পরের নম্বর দিয়ে
চিহ্নিত করা হয়। বাটা দাগ নম্বরে সীটের পার্শ্বে নোট করে প্রর্দশন করতে হয়। ২,২/৪০০
মৌজাঃ
·
সি,এস, জরিপের সময় প্রতিটি
থানা এলাকাকে অনেকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একককে ক্রমিক নম্বর দিয়ে
চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরূপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা
একাধিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়। মোট মৌজা ৬৯৯৯০ যেখানে গ্রাম ৬৮০০০ মাত্র ।
জে,এল,
নম্বর (Jurisdiction List No) :
·
থানা বা উপজেলাধীন প্রত্যেকটি মৌজাকে
পর্যায়ক্রমে ক্রমিক নম্বর দ্বারা চিন্থিত করা হয়। মৌজার এ নম্বরকে জে,এল,
নম্বর বলে।
খতিয়ান:
·
সাধারণত স্বত্ব সংরক্ষণ ও রাজস্ব আদায়ের
উদ্দেশ্যে জরীপ বিভাগ কর্তৃক প্রত্যেক মৌজার ভূমির মালিক বা মালিকগণের নাম, পিতা
অথবা স্বামীর নাম, ঠিকানা, জমির
হিস্যা বা অংশ এবং তাদের স্বত্বাধীন দাগসমূহের নম্বরসহ ভূমির পরিমাণ, শ্রেণী ইত্যাদি বিবরণসহ যে স্বত্ব তালিকা বা স্বত্বের রেকর্ড প্রস্তুত
করা হয়, তাকে খতিয়ান বলা হয় এবং
উক্ত রেকর্ডকে স্বত্ত্বের রেকর্ড বা রেকর্ড অব
রাইটস (ROR)
বলা হয়। খতিয়ানগুলো ১,২,৩,৪ ইত্যাদি ক্রমিক সংখ্যা দ্বারা সাজানো হয়।
এই নম্বরকে খতিয়ান নম্বর বলে। প্রত্যেক মৌজার খতিয়ান নম্বর ১ হতে শুরু হয়। কোন কোন
মৌজায় কয়েক হাজারে খতিয়ান থাকতে পারে। কোন মৌজায় কতটি খতিয়ান রয়েছে তা উক্ত মৌজার
স্বত্বের রেকর্ডে (ROR) পাওয়া যায়।
পর্চা
·
জরীপ চলাকালে খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি
ভূমির মালিককে দেয়া হয় তাকে পর্চা বলে।অথবা
অনেক এলাকায় খতিয়ান কেই পর্চা বলে।
·
No comments:
Post a Comment