জমির ইতিহাসঃ
বাংলাদেশের ভূমির ইতিহাস বা জমির ইতিহাস জানতে
হলে আমাদেরকে পাঁচটি আমল জানতে হবে তাহলে আমরা জমি সর্ম্পকে জানতে পারব-
i.
মুঘল আমল
ii.
বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমল
iii.
বৃটিশ আমল
iv.
পাকিস্তান আমল
v.
বাংলাদেশ আমল
মোগল সাম্রাজ্যঃ(১৫২৬-১৭৫৭)ঃ ১৫২৬ সালে পানি পথের প্রথম
যুদ্ধে বাবরের বিজয়ের মাধ্যমে মোঘল শাসনের
সূচনা হয়।কালের পরিক্রমায় ১৫৫৬ সালে পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে জালাল উদ্দিন
মোহাম্মদ আকবরের জয়ের ফলে মোগল সাম্রাজ্য বিকশিত হয় এবং বিস্তৃতি লাভ করে।এখন কার
বাংলাদেশ,পাকিস্তান,ভারত আফগানিস্তান এই সাম্রাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই আমলে জমির মালিক কে রায়ত বলা হত এবং যারা
জমির খাজনা আদায় করে রাজাদের দিতেন তাদেরকে জমিদার বলা হত। রায়তরা দুই ভাগে বিভক্ত
ছিল।
·
খুদকাস্ত
·
পাইকাস্ত
খুদকাস্তঃ যারা গ্রামে বসবাস
করতেন।সেখানে বাড়ি ঘর করে থাকতেন এবং জমি জমা চাষাবাদ করতেন।এদের জমিতে অধিকার
ছিল।সরকারকে উৎপাদিত ফসলের ছয় ভাগের এক ভাগ দিতেন ।জমি বংশপরস্পরার ভোগের অধিকার
ছিল।জমি এরা নিজে আবাদ করতেন অথবা অন্যকে দিয়ে আবাদ করাতেন।
পাইকাস্তঃ ভিন্ন গ্রামের মানুষ যারা জমি চাষ করত তাদের বলা
হতো পাইকাশ্ত রায়ত। তারা চুক্তিভিত্তিতে খাজনা পরিশোধ করতে পারত। কিন্তু জমি দখলে
রাখার কোন অধিকার তাদের ছিল না। তারা আসলে ছিল উচ্ছেদযোগ্য চাষি এবং ফসল কাটার পর
যে কোন সময় তাদেরকে বিতাড়ন করা যেত। জমিদার জায়গিরদার, চৌধুরী,
তালুকদাররা তাদের দখলীকৃত খাসজমি বর্গাদারদের দ্বারা অথবা
কৃষিশ্রমিকের সাহায্যে চাষাবাদ করতে পারত। এক্ষেত্রে বর্গাদার বা শ্রমিকদের ফসলের
হিস্যা বা মজুরি পাওনা ছাড়া জমির ওপর তাদের কোন অধিকার ছিল না।যারা যাযাবর মত
কখনো এই গ্রামে কখনো অন্য গ্রামে জমি চাষাবাদ করতেন,কোথাও নির্দিষ্ট ভাবে থাকতেন
না ।জমির উপর এদের কোন কায়েমি স্বত্ব ছিল না।
No comments:
Post a Comment