Sunday, 19 May 2019


২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে দলিল সম্পাদনের জন্য স্ট্যাম্পের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে পুরনো মূল্যের স্ট্যাম্প দিয়ে দলিল লেখা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে ও কোনো রকম আইনগত ভিত্তি থাকবে না। কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে তা তুলে ধরা হলো:
অছিয়তনামার কপির জন্য ৩০ টাকার স্ট্যাম্প;
নকলের কবলা, বন্ড, বণ্টননামা, সার্টিফায়েড কপির দলিলের জন্য ৫০ টাকার স্ট্যাম্প;
অনুলিপি, খাস-মোক্তারনামা দলিলের জন্য ১০০ টাকার স্ট্যাম্প;
হলফনামা, বায়নার হলফনামা, হেবার ঘোষণাপত্র, না দাবি পত্র, বাতিলকরণ দলিলের জন্য ২০০ টাকার স্ট্যাম্প;
চুক্তিনামা দলিল, অঙ্গীকারনামা, বায়নানামার দলিল, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাগ্রিমেন্ট, রিডেম্পশন, সোলেনামা বা আপসনামার দলিলের জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প;
আমমোক্তারনামা দলিল ও সাফকবলা দলিলের জন্য ৪০০ টাকার স্ট্যাম্প;
তালাকের হলফনামার দলিলের জন্য ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প;
রাজউকের প্লট ও ট্যাক্সের দলিলের জন্য মোট মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প;
ট্রাস্ট ডিড ক্যাপিটাল দলিলের মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প;
      অংশীদারি দলিলের জন্য ২ হাজার টাকার স্ট্যাম্প;
      মর্টগেজ বা বন্ধকের দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে
ক. ১ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২ হাজার টাকা;
খ. ২০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা;
গ. ১ কোটি ১ টাকার ওপরের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার ও প্রতি লাখের জন্য ২ শতাংশ হারে মোট টাকার মূল্যমানের স্ট্যাম্প লাগবে।



ষ্টাম্প ভেন্ডার হতে  চাইলেঃ
১৮৯৯ সালের ষ্টাম আইনের অধীনে এখনো বাংলাদেশে  ষ্টাম্প  কেনা -বেচা ,লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে।
ভেন্ডার লাইসেন্সের জন্য আবেদনের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় শর্তাবলী:
১। জেলা প্রশাসক বরাবর সাদা কাগজে লিখিত আবেদন করতে হবে।
২। ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে এই মর্মে ব্যাংক থেকে একটি প্রত্যায়ন পত্র।
৪। লাইসেন্স ফি বাবদ ৭৫০ টাকা চালানের মাধ্যেমে জমা দিতে হবে(লাইসেন্স ফি বাবদ ৭৫০ টাকার চালান ফরম আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে না। লাইসেন্স পাবার জন্য মনোনিত হবার পর জমা দিতে হোবে।)
৫। লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছর।
৬। লাইসেন্স এক বছর পর পর নবায়ন করতে হবে। নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

কমিশন  কত পাবনেঃ
৭৫ টাকার উপরের ষ্টাম্পকে হায়ার ভেল্যু আর ৭৫ কম টাকার ষ্টাম্প  লোয়ার ভেল্যুর ষ্টাম্প  ধরে কমিশন দেয়া হয়
·        জেলা শহরে হায়ার ভেল্যুর ষ্টাম্পে ১.৫ টাকা
·        লোয়ার ভেল্যুতে ৩.৬৫ টাকা
·        উপজেলায় হায়ার ভ্যলুতে   টাকা
·        লোয়ার ভ্যলুতে  ৪.৬৯ টাকা

Friday, 17 May 2019

<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Flandgurubd%2Fvideos%2F2335338070047842%2F&show_text=1&width=560" width="560" height="502" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allow="encrypted-media" allowFullScreen="true"></iframe>

জমির ইতিহাসঃ
বাংলাদেশের ভূমির ইতিহাস বা জমির ইতিহাস জানতে হলে আমাদেরকে পাঁচটি আমল জানতে হবে তাহলে আমরা জমি সর্ম্পকে জানতে পারব-
     i.        মুঘল আমল
   ii.        বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমল
 iii.        বৃটিশ আমল
  iv.        পাকিস্তান আমল
   v.        বাংলাদেশ আমল
মোগল সাম্রাজ্যঃ(১৫২৬-১৭৫৭)ঃ ১৫২৬ সালে পানি পথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের বিজয়ের মাধ্যমে  মোঘল শাসনের সূচনা হয়।কালের পরিক্রমায় ১৫৫৬ সালে পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবরের জয়ের ফলে মোগল সাম্রাজ্য বিকশিত হয় এবং বিস্তৃতি লাভ করেএখন কার বাংলাদেশ,পাকিস্তান,ভারত আফগানিস্তান এই সাম্রাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই আমলে জমির মালিক কে রায়ত বলা হত এবং যারা জমির খাজনা আদায় করে রাজাদের দিতেন তাদেরকে জমিদার বলা হত। রায়তরা দুই ভাগে বিভক্ত ছিল।
·        খুদকাস্ত
·        পাইকাস্ত
খুদকাস্তঃ যারা গ্রামে বসবাস করতেন।সেখানে বাড়ি ঘর করে থাকতেন এবং জমি জমা চাষাবাদ করতেন।এদের জমিতে অধিকার ছিল।সরকারকে উৎপাদিত ফসলের ছয় ভাগের এক ভাগ দিতেন ।জমি বংশপরস্পরার ভোগের অধিকার ছিল।জমি এরা নিজে আবাদ করতেন অথবা অন্যকে দিয়ে আবাদ করাতেন।
পাইকাস্তঃ  ভিন্ন গ্রামের মানুষ যারা জমি চাষ করত তাদের বলা হতো পাইকাশ্ত রায়ত। তারা চুক্তিভিত্তিতে খাজনা পরিশোধ করতে পারত। কিন্তু জমি দখলে রাখার কোন অধিকার তাদের ছিল না। তারা আসলে ছিল উচ্ছেদযোগ্য চাষি এবং ফসল কাটার পর যে কোন সময় তাদেরকে বিতাড়ন করা যেত। জমিদার জায়গিরদার, চৌধুরী, তালুকদাররা তাদের দখলীকৃত খাসজমি বর্গাদারদের দ্বারা অথবা কৃষিশ্রমিকের সাহায্যে চাষাবাদ করতে পারত। এক্ষেত্রে বর্গাদার বা শ্রমিকদের ফসলের হিস্যা বা মজুরি পাওনা ছাড়া জমির ওপর তাদের কোন অধিকার ছিল না।যারা যাযাবর মত কখনো এই গ্রামে কখনো অন্য গ্রামে জমি চাষাবাদ করতেন,কোথাও নির্দিষ্ট ভাবে থাকতেন না ।জমির উপর এদের কোন কায়েমি স্বত্ব ছিল না।

miss case application  form



https://drive.google.com/file/d/1ui_fy3uhBtgaksuIpOpNe3ir-YTMG1Uh/view?usp=sharing






Thursday, 16 May 2019


বাংলাদেশে জমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল,খতিয়ান সরকারি গেজেট,ভূমি অফিস,রেজিষ্টেশন অফিস ও জমির ব্যবসায় জমির পরিমাপক ছয়টি-
Ø অযুতাংশ
Ø শতাংশ
Ø কাঠা
Ø বিঘা
Ø একর
Ø হেক্টর

জমির বিভিন্ন শব্দের ব্যাখ্যাঃ


জমির বিভিন্ন শব্দের ব্যাখ্যাঃ
এজমালী সম্পত্তি:
·         কোন প্লট বা জমি খন্ড একাধিক শরিক একত্রে ভোগ-দখলে রাখলে তাকে এজমালী সম্পত্তি বলে। এটা হতে পারে ওয়ারিশ সুত্রে বা ক্রয় সুত্রে।যৌথ মালিকানার জমিকে বলে এজমালি।
বর্গা চাষী বা আদি :
·         বর্গা বলতে ভূমিতে উৎপন্ন ফসলের ভাগ বুঝায়। কোন ব্যক্তি ভূমিতে উৎপন্ন ফসলের কোন নির্দিষ্ট অংশ ভূমি মালিককে দেয়ার শর্তে যদি চাষাবাদ করেন, তবে উক্ত চাষীকে বর্গাচাষী বলা হবে। আগে চার ভাগের ২ ভাগ মালিক কে দিতে হতে ,তেভাগা আন্দোলনের পর এত ৩ ভাগের ১ ভাগ দেয়ার নিয়ম করা  হয়।
চালা:
·         আবাদী উঁচু জমি যেখানে সাধারনত শাক-সবব্জির চাষ করা হয়, তাকে চালা বলে। কোন কোন এলাকায় চালা শ্রেনীর জমিকে ভিটিও বলা হয়।
ভিটি
·         এমন অনেক উঁচু জমি আছে যেখানে বসবাসের জন্য বাড়ীঘর নির্মাণ না করে চাষাবাদ করা হয়। বাড়ীঘর করার যোগ্য এমন উঁচু ভূমিকে ভিটি জমি বলে।
নয়নজুলি:
·         রাস্তা নির্মানের সময় দুধার থেকে মাটি তোলার কারণে নালা সৃষ্টি হয়। রাস্তার দুধারে সৃষ্ট এমন নালাকে নয়নজুলি বলা হয়।
হালট:
·         চাষিদের জমি চাষের জন্য হাল-বলদ নিয়ে জমিতে চলাচলের জন্য এবং শ্রমিকদের ভূমিতে কাজে যাওয়ার জন্য, ভূমির পাশ দিয়ে যে পথ বা রাস্তা রাখা হয়, তাকে হালট বলে।
নকশা:
·         কাগজে অংকিত ভূমির প্রতিচ্ছবিকে নকশা বলে। এট বিভিন্ন স্কেলে তৈরি করা হয়।মাঠের জমিকে কাগজে সংকুচিত করে অংকিত করা হয়।যেমন – ৪,১৬,৩২,৬৪,৮০ ইঞ্চি =১ মাইল।
দাগ নম্বর:
·         ভূমির নকশায় প্রতিটি প্লটকে এক একটি নম্বর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, এই নম্বরকে দাগ নম্বর বলে।

ছুট বা ছুটা দাগ
·         নকশায় সংখ্যায়নের মাধ্যমে ভূমির দাগ নম্বর দেয়ার সময় প্রায়শই ভুলক্রমে কোন সংখ্যা বাদ পরে অথবা কোন কারণে পরবর্তী সময় কোন সংখ্যা নকশায় বাদ দিতে হয়। নকশায় প্রকৃত অনুপস্থিত ঐ নম্বরকে ছুট দাগ বলে। ছুট দাগ নম্বর সীটের পার্শ্বে নোট করা থাকে।
বাটা দাগ
·         নকশা প্রস্তুতের সময় প্রত্যেক ভূমি খণ্ডকে চিহ্নিত করার জন্য দাগ নম্বর দেয়া হয়। পবর্তীকালে কোন দাগ বাস্তব প্রয়োজনে বিভক্ত করা আবশ্যক হতে পারে। যদি কোন দাগকে বিভক্ত করে আলাদাভাবে নতুনদাগ সৃষ্টি করে নম্বর দেয়া হয়, তাহলে বিশেষ পদ্ধতিতে দাগ নম্বর দিতে হয়। পরবর্তী সময় এ নতুন সৃষ্ট নম্বরকে বাটা দাগ নম্বর বলে। এ নতুন সৃষ্ট দাগে বাটা দাগ নম্বর দেয়ার সময় বিভক্ত দাগের মুল নম্বর এর নীচে (বাই নম্বর) সীটের শেষ নম্বরে পরের নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। বাটা দাগ নম্বরে সীটের পার্শ্বে নোট করে প্রর্দশন করতে হয়। ২,২/৪০০

মৌজাঃ 
·         সি,এস, জরিপের সময় প্রতিটি থানা এলাকাকে অনেকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একককে ক্রমিক নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে। থানা এলাকার এরূপ প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। এক বা একাধিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়। মোট মৌজা ৬৯৯৯০ যেখানে  গ্রাম ৬৮০০০ মাত্র
জে,এল, নম্বর (Jurisdiction List No) :
·         থানা বা উপজেলাধীন প্রত্যেকটি মৌজাকে পর্যায়ক্রমে ক্রমিক নম্বর দ্বারা চিন্থিত করা হয়। মৌজার এ নম্বরকে জে,এল, নম্বর বলে।

খতিয়ান: 
·         সাধারণত স্বত্ব সংরক্ষণ ও রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে জরীপ বিভাগ কর্তৃক প্রত্যেক মৌজার ভূমির মালিক বা মালিকগণের নাম, পিতা অথবা স্বামীর নাম, ঠিকানা, জমির হিস্যা বা অংশ এবং তাদের স্বত্বাধীন দাগসমূহের নম্বরসহ ভূমির পরিমাণ, শ্রেণী ইত্যাদি বিবরণসহ যে স্বত্ব তালিকা বা স্বত্বের রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়, তাকে খতিয়ান বলা হয় এবং
 উক্ত রেকর্ডকে স্বত্ত্বের রেকর্ড বা রেকর্ড অব রাইটস (ROR) বলা হয়। খতিয়ানগুলো ১,,,৪ ইত্যাদি ক্রমিক সংখ্যা দ্বারা সাজানো হয়। এই নম্বরকে খতিয়ান নম্বর বলে। প্রত্যেক মৌজার খতিয়ান নম্বর ১ হতে শুরু হয়। কোন কোন মৌজায় কয়েক হাজারে খতিয়ান থাকতে পারে। কোন মৌজায় কতটি খতিয়ান রয়েছে তা উক্ত মৌজার স্বত্বের রেকর্ডে (ROR) পাওয়া যায়।
পর্চা
·         জরীপ চলাকালে খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভূমির মালিককে দেয়া হয় তাকে পর্চা বলে।অথবা  অনেক এলাকায় খতিয়ান কেই পর্চা বলে।
·          

নামজারির মিছ্ (বিবিধ) মামলাঃ


নামজারির  মিছ্ (বিবিধ) মামলা
রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৫০ ধারার ক্ষমতাবলে রাজস্ব অফিসার মানে  সহকারী কমিশনার (ভূমি) ধারা-১১৬, ১১৭ ও ১৪৩ এর দ্বারা নামজারি/জমাখারিজ/জমাএকত্রিকরণ-এর যে আদেশ দিয়ে থাকেন তা উপযুক্ত প্রমাণাদির সাপেক্ষে রিভিউ বা পুনর্বিবেচনারও অধিকার রাখেন। উক্ত ১৫০ ধারার আওতায় যে সব কারণে বিবিধ মামলা দায়ের করা হয় সেগুলি হল -
·         নামজারি মামলা দায়েরের ফলে জমির মালিকের নামে সৃষ্ট খতিয়ানে কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকলে
·         ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে অন্য কোন নামজারি মামলার সম্পৃক্ততা থাকলে এক্ষেত্রে মিছ্ বা বিবিধ মামলা দায়েরের আবেদন করতে হয়।
·         উদাহরণসরূপ- কোন নামজারি খতিয়ানে দখল অনুযায়ী খতিয়ান না হয়ে থাকলে, জমির পরিমাণ কম-বেশি হলে ইত্যাদি;
·         বিএস খতিয়ানে কোনরূপ করণিক ভুল থাকলে বিবিধ মামলা দায়েরের মাধ্যমে করণিক ভুল সংশোধন করা যায়;
·         কোন ব্যক্তি কোন জমির মালিকানা লাভ করলে প্রার্থিত জমিতে পূর্বে অপর কোন ব্যক্তি নামজারি করিয়ে থাকলে এবং এই কারণে জমির স্বল্পতা পরিলক্ষিত হলে প্রথমে উক্ত নামজারি খতিয়ান বাতিল বা সংশোধন এবং তারপর নিজ নামে নামজারিকরণের উদ্দেশ্যে প্রথমে বিবিধ মামলা দায়ের করতে হয়।
 বিবিধ মামলা দায়েরের পদ্ধতি:
·         একটি সাদা কাগজে আপনার জমির এলাকার নিকটস্থ সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর কি ধরণের প্রতিকার পেতে আগ্রহী তা বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে। এছাড়া বিবাদীর নাম, বিবাদীর নামে কোন খতিয়ান সৃজিত হয়ে থাকলে তার বিবরণ এবং নিজের স্বত্ব কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বিবরণ থাকতে হবে;
·         নামজারি আবেদনের মতো ২০/- (বিশ) টাকা কোর্ট ফি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে;
·         আবেদনে উল্লিখিত যুক্তির স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
 বিবিধ মামলা দায়েরের জন্য আবেদনের পর অনুসৃত পদ্ধতি:
·         বিবিধ মামলার আবেদন করার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কার্যালয়ে শুনানী গ্রহণ করা হয়;
·         শুনানী অন্তে আবেদনের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে বিবিধ মামলা দায়েরের আদেশ হয় নতুবা আবেদন খারিজ করা হয়;
·         মিছ্ মামলা দায়ের হলে সাধারণত সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে শুনানীর জন্য নোটিস দেয়া হয় অথবা প্রত্যেক মামলার ধরণ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এক উপজেলার জমির দলিল অন্য উপজেলায় রেজিস্ট্রি করার পদ্ধতি:


এক উপজেলার জমির দলিল অন্য উপজেলায় রেজিস্ট্রি করার পদ্ধতি:
রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ২৮ ধারা অনুসারে, স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল দলিল ঐ সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য উপস্থাপন করা যায়, যে সাব-রেজিস্ট্রারের অধিক্ষেত্রে ঐ দলিলে উল্লিখিত সম্পূর্ণ বা বেশিরভাগ সম্পত্তি অবস্থিত।
রেজিস্ট্রেশন আইনের এই ধারা অনুসারে, একটি দলিলের তফসিলে উল্লিখিত সকল সম্পত্তি একই  উপজেলায় অবস্থিত না হয়ে পৃথক উপজেলায় বা পৃথক জেলায় অবস্থিত হলেও দলিলে উল্লিখিত বেশিরভাগ সম্পত্তি যে সাব-রেজিস্ট্রারের অধিক্ষেত্রে আছে, সেই সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করা যায়।
তবে এক্ষেত্রে একই জেলার পৃথক উপজেলায় অবস্থিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এম (এ)’- ফি এবং পৃথক জেলার সম্পত্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এম (বি)’- ফি পরিশোধ করতে হবে।
কোন সাব-রেজিস্ট্রার একই জেলার পৃথক উপজেলায় অবস্থিত সম্পত্তির দলিল রেজিস্ট্রি করলে বা একই জেলায় অবস্থিত তাঁর নিজ অধিক্ষেত্রের বাইরের দলিল রেজিস্ট্রি করলে তাঁকে রেজিস্ট্রেশন আইনের ৬৪ ধারা অনুসারে অপর সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দলিলটির রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত স্মারকলিপিসহ দলিলের উপরের পৃষ্ঠাঙ্কন ও সার্টিফিকেট (যদি থাকে) প্রেরণ করতে হবে। স্মারকলিপি প্রাপ্তির পর সাব-রেজিস্ট্রার ১ নম্বর বইয়ে তা ফাইলজাত করবেন।
যেক্ষেত্রে দলিলে উল্লিখিত সম্পত্তি পৃথক জেলায় অবস্থিত হবে, সেক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রার দলিলটির রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত স্মারকলিপি রেজিস্ট্রেশন আইনের ৬৫ ধারা অনুসারে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা রেজিস্ট্রার এর নিকট প্রেরণ করবে।

নিকাহনামা বিশ্লেষন


সম্পাদনের কত দিন পর রেজিস্ট্রির জন্য দলিল দাখিল করা যায়:-


সম্পাদনের কত দিন পর রেজিস্ট্রির জন্য দলিল দাখিল করা যায়:-

১। রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ২৪, ২৫ ও ২৬ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, উইল এবং বায়নাপত্র ব্যতিত অন্য যে কোন দলিল ঐ দলিলটি সম্পাদনের তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করা যায়।

২। আদালতের ডিক্রি বা আদেশের নকলের ক্ষেত্রে ডিক্রি বা নকলের আদেশ দানের তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে বা যেক্ষেত্রে উহা আপিলযোগ্য সেক্ষেত্রে আপিল চূড়ান্ত হওয়ার তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলটি দাখিল করা যায়।
৩। উক্ত আইনের ধারা ২৭ অনুসারে, উইল সম্পাদনের তারিখ হতে যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করা যায়।

৪। রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ১৭ক (২) অনুসারে, বায়নাপত্র বা বিক্রয় চুক্তি, উক্ত দলিলটি সম্পাদনের তারিখ হতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করা যায়।

দলিল লেখক হতে চাইলে


দলিল লেখক হতে চাইলে
দলিল লেখক (সনদ) বিধিমালা, ২০১৪ এর ৮ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সাধারণত বৎসরে প্রতি ৩০০ দলিলের জন্য একজন দলিল লেখক, এই নিয়মে কোন বিশেষ কার্যালয়ের প্রয়োজনে রেজিস্ট্রার সেই কার্যালয়ের দলিল লেখকদের সংখ্যা নির্ধারণ করেন। তবে, একজন দলিল লেখক বৎসরে মোট কতটি দলিল লিখবেন, তার কোন সীমা নির্দিষ্ট নাই।

দলিল লেখক (সনদ) বিধিমালা, ২০১৪ এর ২ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, জেলার যে কোন ব্যক্তি তার নিজ সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের এলাকার আওতাভুক্ত হলে এবং
·         বয়স ২১ বছর কম নয়
·         যিনি স্বীকৃত কোন বোর্ড হইতে এস, এস, সি, বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ।
·          যিনি এলাকার প্রচলিত স্থানীয় ভাষায় দলিলের ভাল মুসাবিদা করিতে পারেন;
·         যাহার হাতের লেখা সুন্দর;
·         ১৮৮২ সনের ভূমি হস্তান্তর আইন, ১৯৫০ সনের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৮৯৯ সনের ষ্ট্যাম্প আইন এবং ১৯০৮ সনের রেজিস্ট্রেশন আইন ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমুহ সম্বন্ধে যাহার ব্যবহারিক জ্ঞান আছে
·         এবং যাহার আচরণ ভাল; এবং যিনি সচ্চরিত্রের অধিকারী,
·         তিনি রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ৮০জি ধারা অনুযায়ী দলিল লেখার সনদের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করতে পারেন।

২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে দলিল সম্পাদনের জন্য স্ট্যাম্পের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে পুরনো মূল্যের স্ট্যাম্প দিয়ে দলিল লেখা হলে তা...